মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলায় গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চাপানিহাট বাজারে জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা দলবদলের ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী–১ (ডোমার–ডিমলা) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ডিমলা উপজেলা নায়েবে আমীর কাজী হাবিবুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি কাজী রুকুনুজ্জামান বকুল, উপজেলা বায়তুলমাল সেক্রেটারি ওয়াহেদুজ্জামান বাবুল, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান সাজু, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসেন এবং উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর দরজা সবসময় উন্মুক্ত দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রিয় মানুষের জন্য। নতুনভাবে যারা যোগ দিয়েছেন, তাদের আগমনে ডিমলায় ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হলো।”
নবযোগদানকারীদের মধ্যে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদ ডিমলা উপজেলার সদ্য সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, এবং দলটির আরও কয়েকজন সক্রিয় নেতা–কর্মী।
যোগদান উপলক্ষে নবাগতদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “আমরা জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ, নীতি–নৈতিকতা ও দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে এই দলে যোগদান করেছি। ইসলামিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে চাই।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা নবযোগদানকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক আদর্শ ও ইসলামী মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা জামায়াতে ইসলামীকে আরও শক্তিশালী করবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।