মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষা ও পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে নীলফামারীতে “ভোজ্যতেল নিরাপদতা ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ” বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ কর্মশালার আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সঞ্চালনা করেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (কার্যক্রম) আতিয়া সুলতানা।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়জুল ইসলাম, এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার আতিউর রহমান শেখ।
কর্মশালায় “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯” বিষয়ে উপস্থাপনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস এবং “ভোজ্যতেলের নিরাপদতা ও পুষ্টিমান” বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন গেইনের পোর্টফোলিও লিড আশেক মাহফুজ।
এছাড়া নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম কর্মশালায় একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন।
দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলার সরকারি কর্মকর্তা, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে ভোজ্যতেল উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনের ক্ষেত্রে নিরাপদ মান বজায় রাখা, আইনের প্রয়োগ, এবং ভোক্তা সচেতনতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “ভোজ্যতেলের নিরাপদতা ও পুষ্টিমান শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নয়, বরং উৎপাদক থেকে ভোক্তা—সবার সচেতনতার মাধ্যমেই নিশ্চিত করা সম্ভব। অপরিষ্কার ড্রাম বা পাত্রে ভোজ্যতেল সংরক্ষণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো ভোক্তাদের নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা, যাতে কেউ নিম্নমানের বা ক্ষতিকর পণ্য গ্রহণ করে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়ে।