২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পটুয়াখালী ভার্সিটির সৃজনীবিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আন্তঃসৃজনী বিজ্ঞান মেলা

জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী ও পবিপ্রবি প্রতিনিধি :

বিজ্ঞানচর্চার প্রসার ও উদ্ভাবনী মনোভাব গঠনের লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায়, অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃসৃজনী বিজ্ঞান মেলা–২০২৫। সোমবার (২৭ অক্টোবর) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত সৃজনীবিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আয়োজন ঘিরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এ প্রতিযোগিতায়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি গ্রুপে এবং নবম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্য গ্রুপে তাদের সৃজনশীল উদ্ভাবন উপস্থাপন করে। মেলায় প্রদর্শিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিল বিকল্প উপায়ে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সাশ্রয়ী গ্যাসচুলা, আগ্নেয়গিরির বিস্ময় ও প্রকৃতি বিষয়ক নানা অভিনব প্রদর্শনী।

মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা যায়, রঙিন সাজে সেজেছে পুরো বিদ্যালয় চত্বর। শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি মডেল ও প্রজেক্ট দেখতে ভিড় জমায় শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় দর্শনার্থীরা। সবাই ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও সৃজনশীলতার প্রশংসা করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ জামাল হোসেন।

তিনি বলেন, “বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবনী মনোভাবই একটি জাতিকে এগিয়ে নেয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি গবেষণামুখী হতে হবে এবং শিক্ষকরা ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ তৈরি করবেন।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন,বিজ্ঞান মেলা শুধু প্রদর্শনী নয়, এটি শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনা ও কৌতূহল বিকাশের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম,আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বইয়ের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে বাস্তব জীবনে বিজ্ঞানের প্রয়োগ খুঁজে বের করুক। আজকের এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই ভবিষ্যতের উন্নত বাংলাদেশের স্থপতি।”

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক সুজন মরগান। মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা পারভীন নাহার, সৃজনী সংসদের উপদেষ্টা শফিউল রাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হুদা রিফাত।

দিনব্যাপী এ মেলার শেষে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা। সারাদিন ধরে আনন্দ, উদ্ভাবন ও শিক্ষার মেলবন্ধনে মুখর ছিল সৃজনীবিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণ।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top