রিফাজ বিশ্বাস লালন, ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী ও লালপুরের পর এবার বাঘায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে পদ্মা নদীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী কাকন বাহিনী।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বাঘার হবির চরে এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটায় কাকন বাহিনী।
এতে বাঘা উপজেলার পলাশী চরের মিনাজ মন্ডলের ছেলে আমান মন্ডল (৪০) ও নাজমুল হোসেন(৩৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এছাড়াও মনা মন্ডল ও রাকিম মন্ডল নামের দুইজন কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের আমানের বাবা মিনাজ মন্জল জানান, হবির চরে নিজ ক্ষেতে সরবুন/কাশবন(খড়) দেখতে যান। হঠাৎ স্পিডবোটে ৭ জন কাকন বাহিনীর লোকজন অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। ভয়ে আমরা দিকবিদিক ছুটাছুটি করি। পরে জানতে পারি আমার ছেলে আমান গুলি বিদ্ধ হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার খানপুর পদ্মার হবির চরাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী সময় প্রায় দুই বিঘা জমি নিয়ে কুষ্টিয়ার জেলার দৌলতপুর উপজেলার কাকন বাহিনীর সাথে বাঘা উপজেলার খানপুর চারাঞ্চলের মোনতাজ মন্ডল গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলসহ ও বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পুলিশ পাঠিয়েছি। এবিষয়ে সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যাইনি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও কাকন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায়, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলায় গুলিবর্ষণ করে সাধারণ কৃষক, জেলে, মাঝি ও নৌপথের ব্যাবসায়ীদের উপর হামলা, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিটি ঘটনাতেই জাতীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
আর কত প্রাণ ঝড়লে প্রশাসন পদক্ষেপ নিবে বলে আক্ষেপ করেন পদ্মাপাড়ের বাসীন্দারা।