জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আসুরিয়ার সোতা খালের ওপর ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বক্স কালভার্ট সেতুটি দুই বছরেও জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী হয়নি। সেতুর দুপাশে অ্যাপ্রোচ রোড না থাকায় এলাকাবাসী এখনো ঝুঁকি নিয়ে বাঁশ ও কাঠের মই বেয়ে পারাপার করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ সেতুটি নির্মাণ করে প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু সেতুর দু’প্রান্তে মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক না করায় এটি এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধারণ পথচারীদের প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিশেষ করে স্কুল ও মাদরাসাগামী শিশু-কিশোরদের জন্য এটি হয়ে উঠেছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এলাকাবাসীর দাবি-দ্রুত সেতুর দুই প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বলেন, ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু বানানো হলেও আমরা এখনো সুফল পাচ্ছি না। সেতুর দুই পাশে সংযোগ না থাকায় বাঁশ আর কাঠের মই বসিয়ে পারাপার হচ্ছি। একই কথা জানান স্থানীয় নারী আকলিমা বেগমও। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলে মই পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, তখন বাচ্চাদের নিয়ে পার হওয়া দুঃসাধ্য হয়ে যায়।
এ বিষয়ে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী মৃধা বলেন, বিষয়টি এলজিইডি কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জানিয়েছি। চলতি শুকনো মৌসুমেই অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হবে।
ঠিকাদার মো. ইমরান হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুম থাকায় মাটির সংকটে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আসছে শুকনো মৌসুমেই কাজ শুরু করা হবে।দুমকি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, সেতুর কাজ শেষ হলেও বর্ষা মৌসুম থাকায় অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে, চলতি শুকনো মৌসুমেই কাজ শুরু করা হবে।
 
								 
								 
								 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
															 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        