মোঃ হাসান আল মামুন, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
কার্তিক, হেমন্ত ঋতুর শুরু। বাংলার অষ্টম মাস কার্তিক মানেই প্রকৃতিতে নতুন সাজ। দীঘিনালার মাঠে মাঠে এখন পাকা ধানের সোনালি আভা। চারদিকে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ততা, কৃষকের মুখে পরিশ্রমের তৃপ্তি আর ফসল তোলার আনন্দ।
খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়ি উপজেলা দীঘিনালায় হালকা ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকালবেলায় নেমে এসেছে শিশির। ক্ষেতের ধান পেকে সোনালি রঙ ধারণ করেছে। কৃষকরা এখন দিনরাত ব্যস্ত ধান কাটা, শুকানো আর গোলায় তোলার কাজে। কোথাও চলছে ধান মাড়াই, কোথাও নতুন ধান সিদ্ধ ও শুকানোর আয়োজন।

স্থানীয় কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, সারা বছরের পরিশ্রমের ফল এখন ঘরে তোলার সময়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। ধানের দামও ভালো থাকলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে।”
অন্যদিকে স্থানীয় আদিবাসী কৃষক ধনুতি চাকমা বলেন, এবার আমাদের পাড়ায় ধানের ফলন বেশ ভালো। সকালের কুয়াশা আর বিকেলের সোনালি রোদ—দুই মিলেই মাঠের দৃশ্যটা খুব সুন্দর লাগে। ধান কাটার আনন্দে আমরা সবাই মেতে উঠেছি।”
লোকজ প্রবাদেও আছে— কার্তিক মাসে খাওয়া কম, পাকা ধানে ভরে খামার-গাম।”কার্তিক মাস শুধু কৃষকের নয়, প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছেও বিশেষ প্রিয় সময়। দীঘিনালার পাহাড়-সমতলের সংযোগভূমি জুড়ে এখন এক অন্যরকম সৌন্দর্য। সকালে কুয়াশায় মোড়া মাঠ, দুপুরে সোনালি রোদে ঝলমলে ধান, আর সন্ধ্যায় ঠান্ডা বাতাস—সব মিলিয়ে প্রকৃতিতে এক অনন্য প্রশান্তি।

ধীরে ধীরে শীতের আগমনও টের পাওয়া যাচ্ছে। এই মাসেই হেমন্ত এসে জানান দেয়— “ফসলের মৌসুম এসেছে, ঘরে তুলো সোনার ধান।” কার্তিক মাস তাই দীঘিনালার কৃষিজীবী মানুষের কাছে শুধু সময় নয়— এটি পরিশ্রম, ফসল ও আনন্দের উৎসবের মাস।
 
								 
								 
								 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
															 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        