আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নীরব থাকলেও, ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েককে ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের কাছে স্পষ্ট প্রত্যাশা জানিয়েছে দিল্লি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশ যেন মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখলেই ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়।
আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডা. জাকির নায়েক। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। ভারত তাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করেছে এবং আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি রয়েছে।
রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাকির নায়েক ভারতে ‘ওয়ান্টেড’; তিনি পলাতক আসামি। আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।”
২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত ডা. জাকির নায়েক নিজ দেশ ভারতেই অবস্থান করছিলেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামিক সম্মেলন ও আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় তার প্রতিষ্ঠিত ‘পিস টিভি’র সম্প্রচারও।
এসব ঘটনার পর ২০১৬ সালে ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন ৬০ বছর বয়সী এই ইসলামি বক্তা। পরে তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতিও পান।
ভারতে ফেরার বিষয়ে ডা. জাকির নায়েক স্পষ্ট করেছেন, ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরবেন না। ফলে বর্তমানে তিনি ভারতের বিচারিক আওতার বাইরে অবস্থান করছেন।
 
								 
								 
								 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
															 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        