মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
ওষুধ ব্যবসায়ীদের ঘোষিত আগামী ৩ নভেম্বর সারাদেশে দোকান বন্ধ রাখার কর্মসূচিকে “মানুষকে জিম্মি করা ও অনৈতিক” উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নীলফামারী জেলা।
শনিবার (১ নভেম্বর) এক জরুরি বিবৃতিতে নীলফামারী- ২ আসনের এনসিপি’র মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “২৫ শতাংশ অতিরিক্ত মুনাফার দাবিতে দেশের অসুস্থ জনগণকে জিম্মি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো ব্যবসা জনগণকে জিম্মি করে চলতে পারে না। ওষুধের অভাবে যদি কোনো রোগীর মৃত্যু ঘটে, তবে তার পূর্ণ দায় দোকান মালিক ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনকেই নিতে হবে।”
ডা. কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কমিশন বৃদ্ধির নামে ওষুধের দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করা একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। ব্যবসা না চললে অন্য পেশায় যাওয়া যেতে পারে, কিন্তু জনগণের জীবনকে বিপন্ন করা মানবিক নয়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিপুল সংখ্যক ওষুধের দোকান অনুমোদনবিহীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অধিকাংশ ফার্মেসিতে নেই যথাযথ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, জীবাণুমুক্ত পরিবেশ ও প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট। অথচ নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ফার্মেসিতে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট দ্বারা ওষুধের মান যাচাই করা বাধ্যতামূলক।
তিনি বলেন, “ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা মানুষের জীবন রক্ষার ক্ষেত্র—এখানে লোভ, কমিশন বা জিম্মি করার রাজনীতি চলতে পারে না। এনসিপি কখনোই এ ধরনের জনবিরোধী, অনৈতিক ও অমানবিক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।”
এনসিপি নেতা আরও সতর্ক করে বলেন, “যদি ৩ নভেম্বরের মধ্যে এই ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার না করা হয়, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এনসিপি মাঠে নামবে এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
বিবৃতির শেষে ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, “মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। কোনো ব্যবসায়িক লাভ বা কমিশনের কারণে অসুস্থ জনগণকে কষ্টে ফেলা মানবিকতার পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”