নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যারা একসময় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন, এখন তারাই বলছেন—সনদে যা ছিল, তা আর নেই।
শনিবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা নাগরিক পার্টির আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অনেকেই এখন বলছেন “যা ছিল, তা নাই।” আমরা আগেই বলেছি—‘জরিনা সংসার করবে সকিনার সঙ্গে’, অর্থাৎ যারা একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার করেছিলেন, তারা এখন সরে যাচ্ছেন। জুলাই সনদ দেখাতে হবে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন নাকি চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সার্টিফিকেট নিতে হবে—যার আমলে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন, শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। সেই হাসিনার সময়কার চুপ্পুর কাছ থেকে যদি আমাদের জুলাই সার্টিফিকেট নিতে হয়, তবে আমাদের সবার একসঙ্গে মরে যাওয়াই ভালো। একজন শহীদ পরিবার কিংবা আহত কেউ চুপ্পুর কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে রাজি হবে না।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দ্রুত জুলাই সনদের আদেশ দিন। জনগণ এখন তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জোট হবে জুলাই–২৪ পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা ও সংস্কারে বিশ্বাসী, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আস্থাশীল রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে। তারাই দেশের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম মুসা। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, যুগ্ম মুখ্য সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, পটুয়াখালী জেলায় এনসিপির পাশাপাশি ছাত্রশক্তি ও যুবশক্তি কমিটি গঠন করে দলীয় কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে।