মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নয় দিন বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হচ্ছে নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (ইপিজেড) চারটি কারখানা। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে পুনরায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে এসব কারখানা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার।
খুলে দেওয়া কারখানাগুলো হলো— মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
উত্তরা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্প্রতি শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও বিভিন্ন সুবিধা সংক্রান্ত দাবিতে বিক্ষোভের মুখে গত ২৬ অক্টোবর থেকে এই চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক কারখানার নোটিশে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এখন সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কারখানার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করবেন।”
সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকদের দাবি ও আলোচনা বিবেচনায় নিয়ে আমরা কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।”
ইপিজেড সূত্র জানায়, পুনরায় চালু হওয়া এই চার কারখানায় মোট প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। উত্তরা ইপিজেডে বর্তমানে ২৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন।
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, “চারটি কারখানা নোটিশের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর শ্রমিকদের আবেদনের ভিত্তিতে আগামীকাল থেকে কারখানাগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে নিয়মিত ও শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে শ্রমিকদের আন্দোলনের পরপরই উত্তরা ইপিজেডের চার কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নয় দিন পর শ্রমিকদের প্রত্যাশা ও প্রশাসনের মধ্যস্থতায় অবশেষে সেই কারখানাগুলোর উৎপাদন আবারও শুরু হচ্ছে।