মনির হোসেন, সখিপুর উপজেলা প্রতিনিধি:
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, সমাজসেবক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দলীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য হলো—গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
টাংগাইল জেলার বাসাইল–সখীপুরসহ টাংগাইল-৮ আসনের রাজনীতিতে তিনি এক পরিচিত ও সম্মানিত নাম। এখানকার সাধারণ মানুষের সমস্যা, কৃষক-শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, যুবসমাজের কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে তিনি সবসময় সরব থেকেছেন। ২০২৫ সালের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তাকে ধানের শীষ প্রতীকে টাংগাইল-৮ আসন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে। এতে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর মনোনয়নকে অনেকেই জনগণের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, কারণ তিনি সবসময় দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশ ও গণমানুষের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
রাজনৈতিক জীবনে আহমেদ আযম খান দৃঢ়চেতা, আদর্শনিষ্ঠ ও মাটির মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি বিশ্বাস করেন, “দলীয় ঐক্য ও নৈতিক রাজনীতি ছাড়া প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব নয়।” এজন্য তিনি দলের অভ্যন্তরে বিভাজন ও হাইব্রিড রাজনীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য ও কর্মধারায় জনগণের অধিকার, নির্বাচনী স্বচ্ছতা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবি প্রতিনিয়ত উঠে আসে।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান সামাজিকভাবেও অত্যন্ত সক্রিয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহায়তা, দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত। তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে তিনি নিয়মিত আলোচনা, সভা ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেন।
রাজনৈতিক শুদ্ধতা, বুদ্ধিবৃত্তিক দৃঢ়তা এবং গণমানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কারণে টাংগাইল-৮ আসনে তিনি এখন জনগণের আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার লক্ষ্য কেবল সংসদ সদস্য হওয়া নয়, বরং এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে একটি শান্তিপূর্ণ ও অগ্রসর সমাজ গড়ে তোলা।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবীদ অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা ও শ্রদ্ধা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেভাবে ন্যায়, সততা ও আদর্শকে ধারণ করে জনগণের পাশে থেকেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা—জীবনের এই শেষ প্রান্তে এসে যেন তিনি টাংগাইল-৮ (সখীপুর–বাসাইল) আসনের জনগণের ভালোবাসায় নির্বাচিত হয়ে এই জনপদের উন্নয়ন ও সেবার সুযোগ লাভ করেন। আল্লাহ যেন তাঁকে সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘ জীবন ও দেশসেবার শক্তি দান করেন, যাতে তিনি তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি ও এলাকার মানুষের জন্য আরও কল্যাণকর ভূমিকা রাখতে পারেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবীদের জন্য শুভকামনা রইল, মহান আল্লাহ যেন জীবনের শেষ সময়ে এসে হলেও উনাকে সখিপুর–বাসাইল হতে নির্বাচিত করে এই জনপদের সেবা করার সুযোগ দান করেন।