নিজস্ব প্রতিনিধি:
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি। প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস তার জয়ের খবর নিশ্চিত করে।
৮৪ লাখেরও বেশি মানুষের এই ব্যস্ত শহর এবার পেল নতুন নেতৃত্ব। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নিউইয়র্কে মামদানীর জয়কে ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই জয়ের পেছনে তার ধর্ম বা জাতিগত পরিচয় নয়, বরং মানুষের জন্য সাশ্রয়ী জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতিই তাকে বিজয়ী করেছে।
নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। ভোটের দিন কুয়োমো বলেন, “ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে এখন এক ধরনের গৃহযুদ্ধ চলছে। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার এক দল মাঝারি অবস্থানের ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।”
ব্রঙ্কসের ভোটার জোশুয়া উইলসন বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের পর থেকে রাজনীতি অনেক তীব্র হয়েছে। নতুন তরুণ নেতৃত্বের উত্থানে অনেকেই ভয় পাচ্ছে। কিন্তু মামদানি এই অবস্থায় এক নতুন কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন।”
শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প কুয়োমোকে সমর্থন জানালেও সেটি উল্টো প্রভাব ফেলেছে। কুয়োমোর অনেক পুরনো সমর্থক এবার মামদানীর পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।
মামদানীর নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে বাস সেবা, সার্বজনীন শিশু যত্ন এবং ভাড়ার সীমা নির্ধারণ। তিনি জানিয়েছেন, বড় কর্পোরেশন ও ধনীদের ওপর কর বাড়িয়ে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে সামনে তার জন্য চ্যালেঞ্জও কম নয়। মধ্যপন্থী ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখা এবং প্রগতিশীলদের প্রত্যাশা পূরণ—দুই দিকের ভারসাম্যই রাখতে হবে তাকে।