মোঃ নাঈম উদ্দিন সিরাজী, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কানসোনা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা কৃষক ইমদাদ হোসেন আজ কৃষি ক্ষেত্রে এক অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত। একসময় পেশায় ছিলেন রেস্টুরেন্টের হেড শেফ। জীবিকার প্রয়োজনে রান্নাঘরেই কাটতো দিন। কিন্তু প্রকৃতি ও সবুজের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই তিনি কৃষির প্রতি আকৃষ্ট হন। সেই ভালোবাসার ফলেই শুরু হয় তার ফলজ বৃক্ষের যাত্রা নিজের বাড়ির আঙিনা থেকে কয়েকটি চারা রোপণের মধ্য দিয়ে।
ক্রমে সেই আগ্রহই পরিণত হয় পেশায়। বর্তমানে ইমদাদ সফলভাবে পরিচালনা করছেন একটি আধুনিক ফলজ বাগান ও নার্সারি, যেখানে রয়েছে চায়না কমলা, উন্নত জাতের আঙুর বাগান , মাল্টা, লটকোনা, লেবু, পেয়ারা, ও অন্যান্য দেশি-বিদেশি ফলের চারা।
তার নার্সারি থেকে শুধু উল্লাপাড়া নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফলজ গাছ ও চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে তিনি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফলজ চারা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন, যা স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
নিজস্ব জমি না থাকলেও থেমে থাকেননি ইমদাদ। তার এক প্রবাসী বন্ধু নূরউদ্দিন ২০ শতাংশ জমি তাকে ব্যবহার করার সুযোগ দেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সেই জমিতেই শুরু হয় ইমদাদের বাগানের যাত্রা, যা আজ এক সফল কৃষি উদ্যোক্তার গল্পে রূপ নিয়েছে।
ইমদাদ হোসেন বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ ফলজ গাছের চাষে আগ্রহী হোক। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে বাগানটিকে আরও বড় আকারে প্রসারিত করে দেশীয় ফল উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে চাই। কৃষির উন্নয়নেই আমার স্বপ্ন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, ইমদাদের এই উদ্যোগ অন্যান্য তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার অব্যাহত থাকলে তার এই বাগান ভবিষ্যতে একটি সফল বাণিজ্যিক কৃষি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।