৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী ও পবিপ্রবি প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৭ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসির কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে পবিপ্রবি ইউট্যাব, জিয়া পরিষদ, ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, কাঁঠালতলী আক্তার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ গাজী মো: বজলুর রহমান এবং জিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ আবুবকর সিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, “৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জাতীয় সংহতি রক্ষার এক অনন্য অধ্যায়। জাতির সংকটময় মুহূর্তে সৈনিক ও জনতার ঐক্য দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। আজকের তরুণ প্রজন্মকে সেই দেশপ্রেম, ঐক্য ও দায়িত্ববোধের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন,“গত সরকারের সময় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব-ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা। এসময় তিনি লেবুখালী ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে অবস্থিত দিকনির্দেশক স্মারক যুদ্ধবিমানটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনঃস্থাপনের বিষয়ে বিমানবাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,“বিপ্লব ও সংহতির চেতনা কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি জাতির আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। আমরা যদি আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা, দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করি, তবেই সত্যিকার অর্থে জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সেই চেতনা জাগ্রত করতে আজকের এই আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি জাতির ঐক্য, দেশপ্রেম এবং জাতীয় সংহতির প্রতীক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেম, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পবিপ্রবির ইউট্যাব সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মামুন অর রশিদ এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্রদল পবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা জনি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিনসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top