মোঃ হাছান আল মামুন, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ার এখন যেন পরিণত হয়েছে প্রাণবন্ত সবজির এক সমৃদ্ধ বাজারে। প্রতিদিনই এখানে বসে তাজা সবজির জমজমাট হাট। পাহাড়ি জুমচাষে উৎপাদিত বাহারি সবজি, ফলমূল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রিতে মুখর থাকে পুরো এলাকা।
দীঘিনালা ও বোয়ালখালী বাজারের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত লারমা স্কয়ার সাজেকে যাওয়ার প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে এ পথ দিয়ে। ফলে স্থানীয়দের পাশাপাশি সাজেকগামী পর্যটকরাও এই হাটে ভিড় করেন, পাহাড়ি কৃষকদের পরিশ্রমে ফলানো তাজা ফসল দেখতে ও কিনতে।
ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে রাত দশটা পর্যন্ত চলে এই হাটের কর্মচাঞ্চল্য। মাছ-মাংস, ফলমূল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায় এখানে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে লারমা স্কয়ার।

সবজি কিনতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা তারামণি চাকমা বলেন, “এখানকার সবজি একেবারেই তাজা থাকে। দামও তুলনামূলকভাবে কম, তাই প্রায়ই এখান থেকে সবজি কিনি।”
স্থানীয় সবজি বিক্রেতা সুমিতা চাকমা জানান, “ভোরবেলায় আমরা পাহাড়ের গ্রাম থেকে জুমের মাঠে ফলানো শাকসবজি সংগ্রহ করে বাজারে আনি। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দামও ভালো পাই, এতে আমাদের আয়ও সন্তোষজনক।”
আরেক ব্যবসায়ী সত্য দাস বলেন, “লারমা স্কয়ারে ব্যবসা করে আলাদা শান্তি পাই। প্রতিদিনের মাল প্রতিদিনই বিক্রি হয়ে যায়, লাভও হয় মোটামুটি ভালো। এজন্যই এখানে কাজ করতে ভালো লাগে।”
স্থানীয়দের মতে, এই বাজার শুধু দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছে না, বরং স্থানীয় কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের পথও তৈরি করছে। পর্যটনের সাথে যুক্ত হয়ে লারমা স্কয়ারের এই হাট এখন পাহাড়ি জনপদের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে