নিজস্ব প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ–৪ আসন (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দীর্ঘদিনের এই রাজনীতিক এবার নির্বাচনী প্রচারণায় যেমন সরব, তেমনি আলোচনায় আছেন তার একটি ভিন্ন পরিচয় নিয়েও — “ফজু পাগলা” নামটি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং কিছু ধর্মীয় বক্তার মুখে এই নামটি শোনা যায়, আর তা নিয়েই তিনি বেশ আনন্দিত।
‘ফজু পাগলা’ নামের প্রতি তার প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি দেখলাম, কিছু ইসলামী বক্তা আমাকে ‘ফজু পাগলা’ বলছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ দেই—বিশেষ করে মুফতি আমির হামজা ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে। তারা আমাকে যে নামটা দিয়েছে, সেটা আসলে খারাপ কিছু নয়। বরং আমি বেশ আনন্দিত।”
তিনি মজার ছলে আরও বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জেই আছে বিখ্যাত ‘পাগলা মসজিদ’। আমি চিন্তা করলাম—‘ফজু পাগলা’ নামটা খারাপ না! কিশোরগঞ্জে যত মসজিদ আছে, ‘পাগলা মসজিদ’ই কিন্তু সবচেয়ে বিখ্যাত। সেখানে মানুষ গলার হার খুলে দেয়, কানের দুল দেয়, টাকা-পয়সা, এমনকি ডলারও দান করে! এত সম্পদ তো বায়তুল মোকাররমেরও নেই!”
‘পাগলা’ উপাধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি
ফজলুর রহমান আরও বলেন, “‘পাগলা’ তো এক সাংঘাতিক উপাধি! আমি ভাবলাম—মাওলানা নামধারী যারা আমাকে এই নাম দিয়েছে, তারা ভুল বলেনি। পাগলা মসজিদ যেমন মানুষের ভালোবাসা পায়, তেমনি আমিও মানুষের ভালোবাসা পাবো। কাজেই আমি এই উপাধি পেয়ে খুশি।”
ফজলুর রহমান একসময় খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ–৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। স্থানীয়ভাবে তিনি জনপ্রিয় এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন।
তার এই “ফজু পাগলা” মন্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।