নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর পল্টনে আজ দুপুরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল গণসমাবেশ করবে। এই কর্মসূচিতে হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে আট দলের নেতাদের যৌথ বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগামীকাল হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। রাজধানী এবং আশপাশের মানুষ এতে যুক্ত হবে।
লোকে লোকারণ্য হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” তিনি জানান, চাইলে দেশব্যাপী সমাবেশের ডাক দেওয়া যেত, তবে এবার শুধুমাত্র রাজধানী ও আশপাশের জনবল নিয়েই সমাবেশ হচ্ছে। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমাদের আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব শেষ, এখন চলছে পঞ্চম পর্ব। ৬ নভেম্বর আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি এবং ১১ নভেম্বর গণসমাবেশ ঘোষণা করেছিলাম। এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক জোট নয়, বরং জনগণের মৌলিক দাবি বাস্তবায়নের একটি প্ল্যাটফর্ম।”
বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা জানিয়েছে, জামায়াতের ডাকে সাড়া দেবে না। আমরাও প্রকাশ্যে বলছি, তারা ডাকলে আমরা সাড়া দেব। আলোচনা ও আন্দোলন— উভয় পথই আমরা চালিয়ে যাব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জনদুর্ভোগ এড়ানোর চেষ্টা করছি। আমাদের কর্মসূচির সময় ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত, যাতে নাগরিক ভোগান্তি কম হয়।” ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা ভেস্তে গেছে কি না—এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আলোচনা ভেস্তে যায়নি।
এর মধ্যেই একটি চার্টার তৈরি ও স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমস্যা সনদে নয়, বরং সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে।” তিনি আরও বলেন, “গণভোট সংবিধানে ছিল, পরে ফ্যাসিস্টরা তা বাদ দিয়েছে। যারা এখন বলে সংবিধানে গণভোট নেই, তারা ফ্যাসিবাদকেই সমর্থন করছে।
সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর পর নির্বাচন হওয়ার কথা, তাহলে কি ২০২৬ সালে নির্বাচন হবে? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা নেয়নি।” আজকের গণসমাবেশে অংশ নিচ্ছে আটটি রাজনৈতিক দল— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।