নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না; আওয়ামী লীগ যেভাবে নির্বিচারে মামলা করেছে, আমরা সেই পথটা অনুসরণ করবো না, বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে সেগুলো তুলে নেবো।”
তিনি মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এবং দেশের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির পথে এগোনোর বার্তা দেন।
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনাকে বলতে চাই—অত্যাচার, নির্যাতন ও ভয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না; অতীতেও পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না; বরং গণহত্যা ও নির্যাতনের দায় নিয়ে এখনই ক্ষমা চাওয়া উচিত।” ফখরুল ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, আগামী ডিসেম্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে দেশের মানুষ আশা করছে এবং তিনি আশা করেন নতুন নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
তিনি কিছু দলকে পিআর ইস্যু নিয়ে জবরদস্তির অভিযোগ করে বলেন, “জামায়াতে ইসলামিসহ কয়েকটি দল পিআর পদ্ধতির নামে জনগণের উপর জবরদস্তি করছে; জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বর্তমান নতুন ব্যবস্থাগুলো মূলত গণতন্ত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্র।”
তিনি গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে আয়োজনের পক্ষে মত দেন এবং বলেন, এতে জনগণ তাদের মতামত সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আল মামুন আলম এবং উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির নেতৃত্বরা; তবে পরে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ফখরুলের ওই বক্তব্য কিছু গণমাধ্যমে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তিনি দেশব্যাপী হয়রানীমূলক মামলা পাল্টে নেওয়ার বা নেওয়া-না-নেওয়ার বিষয়ে কোনো মোট ঘোষণা দেননি—তার বক্তব্য ছিল স্থানীয় কোনো হয়রানীমূলক মামলার প্রেক্ষিতে সেই ইউনিয়নে মামলাগুলো তুলে নেওয়া হবে, যা ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপটে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ফলে জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।