নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার ১৫ মাস পর এবার ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং কোপেনহেগেনে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সম্মতি-পত্র পাঠানো হয়েছে।
এখন শুধু ক্লিয়ারেন্স পাওয়া বাকি, যা পেতে এক থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। জানা গেছে, শুধু তিনিই নন—অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী ও তার বোন হুসনা সিদ্দিকীকেও বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সিঙ্গাপুর, হেগ, থিম্পু, ইয়াঙ্গুন ও তেহরান—এই পাঁচ স্টেশনে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারের পদ শূন্য হতে চলায় সম্ভাব্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এর মধ্যে লুতফে সিদ্দিকী সিঙ্গাপুর এবং হুসনা সিদ্দিকী হেগে রাষ্ট্রদূত পদে আগ্রহী, আর লামিয়া মোর্শেদ ইউরোপের কোনো দেশ চাইলে আপাতত পদ শূন্য না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ফাইলওয়ার্ক শুরু হয়নি। এদিকে কূটনৈতিক মহলে সমালোচনা চলছে পেশাদার কূটনীতিকদের বদলে অ-ক্যারিয়ার ব্যক্তিদের রাষ্ট্রদূত করা নিয়ে।
কারণ তালিকায় থাকা কয়েকজনের পরিবারের সঙ্গে অতীতে ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠতার ইতিহাস রয়েছে; বিশেষত লুতফে ও হুসনা সিদ্দিকীর বাবা আবু ইয়াহইয়া বুরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী শেখ হাসিনার আমলে পুলিশের আইজি ছিলেন। সরকারের এ ধরনের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিং পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা পেশাদার কূটনীতিকদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।