মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক জুলাই গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর নীলফামারীতে আনন্দ উদযাপন করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সাধারণ মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন সংগঠনের নেতারা।
রায় ঘোষণার পর আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান খান রিনো বলেন, “জুলাই গণহত্যার ন্যায়বিচারের জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই রায় ছিল বহুল প্রত্যাশিত। আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় দ্রুত কার্যকর হলে জনগণের ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আইনের শাসনের রাষ্ট্র—এ রায়ের মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণিত হলো।”
মিষ্টি বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা সজীব, সদস্য নুর মোহাম্মদ মিশন, মোহাম্মদ হুজুর আলী, মুরছালিন রায়হান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা আব্দুস সালাম বাবলাসহ আরও অনেকে।
এদিকে, জুলাই গণহত্যা মামলায় তদন্ত ও শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার সকালে রায় ঘোষণা করে। রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা রায়কে ‘ন্যায়বিচারের প্রতিফলন’ হিসেবে দেখছেন, যেখানে সরকারপন্থি অংশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলছে রায়ের প্রক্রিয়া নিয়ে।
রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে জনসমাগম বাড়তে থাকে। বহু সাধারণ মানুষ ও আইনজীবী আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে রায়ের আপডেট অনুসরণ করেন। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা উল্লাস প্রকাশ করেন এবং পথচারীদের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, “দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত রায় পাওয়ায় মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া, আপিল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রতিক্রিয়া—সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়টি জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।