সুমাইয়া আক্তার, কেরানীগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধি:
২০১৮ সালের কোটা বিরোধী আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন এবং ২০২১ সালে গণ অধিকার পরিষদের উত্থান—এই তিনটি ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৈরি হয় তারুণ্যের অভূতপূর্ব জাগরণ। তখন থেকেই দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে কীভাবে কিছু সাহসী তরুণ বুক চিতিয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিটি ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে গণ অধিকার পরিষদের জনপ্রিয়তা, তারুণ্যের বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি।
এই ধারাবাহিকতার পর ২০২৪ সালের বিপ্লবের পর গণ অধিকার পরিষদের তরুণদের একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলে—জাতীয় নাগরিক পার্টি। এর মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় তারুণ্যের দুটি প্রভাবশালী দল, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেবে বলে মত দিয়েছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে জনপ্রিয় ছাত্র নেতা সাজ্জাদ আল ইসলাম বলেন, “গণ অধিকার পরিষদ বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি—এটা দেশের আপামর মানুষের জন্য বড় একটি পাওয়া। যেখানে অন্যায়-অনিয়ম, সেখানেই গণ অধিকারের প্রতিরোধ—এই প্রবাহ তারুণ্যের দলটিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। আমাদের তারুণ্যের শক্তির আরেকটি অংশ জাতীয় নাগরিক পার্টি। আমি বিশ্বাস করি, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা দেশের পক্ষের শক্তি হয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের এই নতুন শক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে নতুন দিক নির্দেশনা দেবে—স্বচ্ছতা, অধিকার, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পথে