জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
১৮ নভেম্বর ২০২৫ইং পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাটরা সফের মুন্সীর ব্রিজ থেকে আলী আকবরের দোকান হয়ে পশ্চিম ঝাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১.৭৫ কিলোমিটার এলজিইডি নির্মিত হেরিংবন্ড সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ইট সরে গিয়ে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী, রোগী ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। জনদুর্ভোগ লাঘবে এখনই সংস্কার বা পাকা করণের দাবি স্থানীয়দের।
(১৭ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে হাঁটুসমান কাদা জমে জনচলাচলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন এলাকাবাসী।
বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেছে। রিকশা-ভ্যান বা অ্যাম্বুলেন্স এই সড়কে সহজে চলতে না পারায় অসুস্থ রোগী বহনে মারাত্মক ভোগান্তি হচ্ছে।এলাকার বাসিন্দা আ,মজিদ বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিশু, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু এর বেহাল দশার কারণে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
স্থানীয় দোকানদার আ,খালেক অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে সড়কটি। বর্ষায় কাদা এবং শুষ্ক মৌসুমে ধুলোয় দোকানপাট ঢেকে যায়। বারবার অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।
৩৪ নং পশ্চিম ঝাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহআলম জানান, খারাপ সড়কের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় বৃষ্টির মধ্যে পড়ে গিয়ে আঘাতও পায় তারা।
আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান সোহরাব স্বীকার করে বলেন, সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, তবে বাজেট সংকটের কারণে সংস্কার কাজ সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো,শহিদুল ইসলাম বলেন, অবিলম্বে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এলাকাবাসী দ্রুত পাকাকরণসহ সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন।