মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি)’র রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী -২ আসনের ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী জননেতা মোঃ হারুন অর রশিদ হারুন বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে কিন্তু তার পেতাত্মারা আজও দেশের মধ্যে রয়ে গেছে। তারা পালিয়ে গিয়েও ইন্ডিয়া বসে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকালে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী (বহরপুর) রেলওয়ে ফুটবল মাঠে বিএনবিএস ক্লাবের আয়োজনে হোন্ডাকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের মেগা ফাইনাল খেলায় বিএনবিএস ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ রেজাউল করীম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী -২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি- কালুখালী) আসনের ধানের শীষের সম্ভব্য প্রার্থী জননেতা মোঃ হারুন অর রশিদ হারুন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জেলা ও বিভাগ মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং ডা. আবুল হোসেন কলেজর অধ্যক্ষ (অব)
এ,বি,এম মঞ্জুরুল আলম দুলাল, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ, পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খান, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, অ্যাডভোকেট ফিরোজ উদ্দিন, জাফর আলী মিয়া, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ, মমতাজ আক্তার তানিয়া, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ হোসেন আশিক, বহরপুর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খায়রুল হাসান, বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার ভৌমিক, বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি সিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান লিখন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান রোমান, ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান ইদ্রিস, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রেজা, বহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাসুদ রানা, রফিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, শামীম আহমেদ, আহাদ হোসেনসহ উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। তিনি ছিলেন কৃষি বান্ধব একজন নেতা।
তিনি আরো বলেন, তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচি অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমাদৃত হয়ে উঠে। নদী মার্তৃক বাংলাদেশে কৃষিই একমাত্র অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। তিনি কৃষকদের জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা এনেছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যিকার দেশপ্রেমিক।জাতি তাঁর অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান (কোকো) ছিলেন ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব। আমাদের যুব সমাজ আজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সেই পথ থেকে সড়িয়ে আনতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। বিএনবিএস ক্লাব যে আয়োজন করেছে তা আমার আকৃষ্ট করেছে। আমাদের যুবসমাজ খেলাধুলায় মনোনিবেশ করলে নেশা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। এমন আয়োজন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি মনে করি।
যারা ১৭ বছর একটানা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তাদের আমলে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, জুলুম–নির্যাতন, টাকা পাচার—এসবের দায় কে নেবে?
হারুন অর রশিদ আরও দাবি করেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও অনেক অপকর্ম হচ্ছে তবে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। পুরনো রাজনৈতিক ধারা, দুর্নীতি ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে একটি ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। “উই নিড চেঞ্জ-এই পরিবর্তন আনতে পারবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি),”—বলেন তিনি।
বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর বাংলাদেশ দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিএনপির এমপি-মন্ত্রীরা কোনো ব্যাক্তি সুবিধা গ্রহণ করবে না।
তিনি দাবি করেন, উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ জনগণের সামনে প্রকাশ করে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গঠন করবে বিএনপি।
তিনি অভিযোগ করেন, ভীতি সৃষ্টি করে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা সামাজিক সহাবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যা তুলে ধরে হারুন অর রশিদ বলেন, পাসপোর্ট, রেজিস্ট্রেশনসহ নানা হয়রানি বন্ধে একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রয়োজন। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ সকল প্রশাসনিক জটিলতা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দিনের ভোট রাতে হলে তার পরিণতি কী হয়, দেশ তার মূল্য দিয়েছে। এবার কেউ ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে দায় এড়াতে পারবেন না।”
ভোটের দিন সকাল থেকে কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কষ্ট করে আদায় করা ভোট কাউকে নিতে দেয়া হবে না।”
পরিশেষে তিনি দলের সকল নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।