মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
“আন্দোলন হটাও, ইপিজেড বাঁচাও”, “শ্রমিক বাঁচলে পরিবার বাঁচবে”—এমন স্লোগান মুখে নিয়ে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কারখানাটির শ্রমিকরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে উত্তরা ইপিজেডের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শ্রমিকরা বলেন, কারখানা তাদের একমাত্র জীবিকা ও পরিবারের ভবিষ্যতের ভরসাস্থল। তারা বলেন, “এই কারখানা শুধু কর্মস্থল নয়—এটাই আমাদের স্বপ্ন, আমাদের ভবিষ্যৎ। কারখানার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু গোষ্ঠী বিভ্রান্তি ছড়ালেও আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। আমাদের স্বার্থেই উসকানিতে পা না দেয়া জরুরি।”
সম্প্রতি শ্রমিকদের লাগাতার দাবি ও অস্থিরতার কারণে উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে কোম্পানিগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এবং পুরো ইপিজেড সংকটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শ্রমিক-মালিক উভয়ের ক্ষতির মুখে স্থানীয়দের সঙ্গে শ্রমিকরাও বলছেন—“আন্দোলন হটাও, ইপিজেড বাঁচাও।”
একসময় রংপুর অঞ্চলের মঙ্গাপ্রবণ জেলা নীলফামারী উত্তরা ইপিজেড প্রতিষ্ঠার পর বদলে গেছে। খড়ের ঘর আর চরম দারিদ্র্যের দৃশ্য অনেকটাই অতীত। এ অঞ্চলের প্রায় ৪০ হাজার নারী-পুরুষের জীবন-জীবিকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই ইপিজেডকে কেন্দ্র করে। সচেতন মহলের মত, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান অব্যাহত থাকলে উন্নয়নের আরও উচ্চ শিখরে পৌঁছাবে এলাকা।