নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং পরবর্তীতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি পদে দায়িত্ব পালনকারী এসপি মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অবস্থান বদলিয়ে ফ্যাসিস্টবিরোধী পরিচয় নিলেও তিনি এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। বিনিময়ে ওই ব্যবসায়ীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
১৩ মার্চ রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলার এজাহারে নিজের নাম থাকার খবর পেয়ে শিবলী থানায় ঢুকে বাদী পলাশ হাসানকে প্রকাশ্যেই মারধর করেন। এরপর দায়িত্বরত নারী কনস্টেবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করার চেষ্টা করেন এবং বাদীর মোবাইল ফোন ভেঙে এজাহারের রেকর্ড মুছে ফেলতে উদ্যোগ নেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও শৃঙ্খলা শাখার তদন্ত প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তে ২১ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
ঘুষ দাবির ঘটনায় ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসার পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলে তার ম্যানেজার পলাশ হাসানকে শিবলীর নির্দেশেই বাধা দেওয়া হয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে। প্রভাবশালী অমিত বণিকের মাধ্যমে শিবলী ঘুষ লেনদেনে যুক্ত ছিলেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
উপকমিশনার হাবিবুর রহমানের প্রতিবেদনে বলা হয়, থানায় এজাহার টাইপ চলাকালে শিবলী আকস্মিকভাবে ঢুকে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হত্যা প্রচেষ্টায় লিপ্ত হন।
এসপি শিবলী তদন্ত কর্মকর্তাকে দাবি করেন, অভিযোগগুলো “শতভাগ মিথ্যা”। তবে তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোই সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং এজন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।