মোঃ শহিদুল ইসলাম পিয়ারুল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা জমি গোপনে অন্যত্র বিক্রি এবং সেই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ২ ঘটিকায় উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই টঙ্গীরচর মোড়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে এই অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী মো. কাইয়ুম ও এলাকাবাসী।
অভিযোগটি উঠেছে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত কফিল উদ্দিনের পুত্র তামিম দারী, বিজিবি সদস্য আজহারুল ইসলাম, সেনা সদস্য নাছিমুল আলম এবং সোহাগ ও সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে। ভোক্তভোগী অভিযোগে জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে তিনি ১৮ শতাংশ জমি কফিল উদ্দিন ভূঁইয়ার জীবদ্দশায় ক্রয় করে সেখানে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও গাছপালা রোপণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন।
কিন্তু জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আগেই কফিল উদ্দিন ভূইয়া মারা যান। পরবর্তীতে ওয়ারিশগণরা জমি রেজিস্ট্রি করে দেবে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং নামজারির কথা বলে ৫০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয়।
কিন্তু কফিল উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে তামিম দারী কাইয়ুমকে রেজিস্ট্রি না দিয়ে গত ২৭ নভেম্বর গোপনে ওই জমির ৮ শতাংশ বিজিবি ও সেনা সদস্যসহ আরো দুই জনের কাছে বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে মো. কাইয়ুম জানান, “জমিটি বর্তমানে তাঁর দখলে থাকলেও ক্রেতারা বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য সহ অপরাপর আরো দুইজন প্রভাব খাটিয়ে বাড়ির ভিতরে মাটি ফেলে, গাছপালা কেটে ইট-বালু এনে জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাছাড়া তাকে উচ্ছেদ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ভোক্তভোগী কাইয়ূম।
এ বিষয়ে ৯ ডিসেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি অভিযোগও দায়ের করেছি। যাতে করে ওই জমি অবৈধভাবে ক্রয়কৃতদের নামে নামজারী না করা হয়। বর্তমানে ভোক্তভোগী তাঁর ও পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ দীর্ঘদিনের ক্রয়কৃত ও ভোগদখলীয় জমি রেজিস্ট্রি সহ ফিরে পেতে স্থানীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অপরদিকে সেনা সদস্য নাছিমুল আলমের পিতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাগজপত্র দেখে মালিকের নিকট থেকে জায়গা ক্রয় করেছি। মালিক বিক্রি করেছে, আমরা কিনেছি।