মোঃ হাচান আল মামুন, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সেমিনার কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহা. তানজিল পারভেজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদার এবং দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর ও আলশামস বাহিনী সুপরিকল্পিতভাবে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক ও সংস্কৃতিকর্মীদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন হতে যাওয়া বাংলাদেশকে মেধাশূন্য ও দিশাহীন করে দেওয়াই ছিল এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য।
তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ের এক ভয়াবহ অধ্যায়। স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের ঠিক আগমুহূর্তে জাতির চিন্তা, বিবেক ও নেতৃত্বের ভিত্তিকে ধ্বংস করতেই এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।
বক্তারা গভীর শোক, বেদনা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে বলেন, প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর জাতি তাঁদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ, দেশপ্রেম ও ত্যাগের চেতনা লালন করেই একটি উন্নত ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।