মোঃ বাদশা প্রামানিক, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি দুই সন্তানের জননী নিহত গৃহবধূর নাম মোছা. রুবিনা আক্তার (১৯)।
নিহত গৃহবধূ ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরখাতা ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের কন্যা। প্রায় চার বছর আগে তার বিয়ে হয় ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি রহমানগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের পুত্র রফিকুল ইসলাম (৩২)-এর সঙ্গে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই রুবিনার ওপর পারিবারিক নানা বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা হতো। স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে কলহ লেগে থাকত। এ নিয়ে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রুবিনার একাধিকবার ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
সর্বশেষ গত রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় রুবিনাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের পরিবার দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে নিহতের মা গোলাপী বেগম বাদী হয়ে স্বামী রফিকুল ইসলামসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ডিমলা থানার পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত আলী সরকার সরকার জানান ঘটনর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে। নিহতের মা বাদী হয়ে নিহতের স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত শেষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের করা হবে।