গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধি:
বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তর টাঙ্গাইলসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে জেঁকে বসেছে প্রচণ্ড শীত। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার কারণে চারপাশ এতটাই ঝাপসা হয়ে থাকছে যে, অনেক সময় কয়েক হাত দূরের কিছুই দেখা যায় না। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচলে চালকদের হেডলাইট ও ফগ লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, প্রতিদিনের তুলনায় আজ কুয়াশার ঘনত্ব ছিল অনেক বেশি। সকালেও সূর্যের দেখা মেলেনি, বাতাসে ছিল হিমেল শীতলতা। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলেও থেমে নেই দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের কর্মব্যস্ততা। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেই তারা জীবিকার তাগিদে কাজে বের হচ্ছেন।
বিশেষ করে কৃষিশ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক, ভ্যানচালক ও ছোট ব্যবসায়ীরা সীমিত শীতবস্ত্র পরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শীতের কারণে কষ্ট বাড়লেও জীবনের প্রয়োজনে তারা থেমে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না।
এদিকে, তীব্র শীত ও কুয়াশার মধ্যেও সোনামুই বাজারে দেখা গেছে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য। সকাল থেকেই বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। শাকসবজি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাবেচা চলছে নিয়মিতভাবেই। অনেক বিক্রেতাকে আগুন জ্বালিয়ে কিংবা গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়ে দোকান চালাতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীত যতই বাড়ুক না কেন, জীবনের তাগিদে বাজার ও কাজকর্ম থেমে থাকে না। তবে তারা শীতজনিত অসুস্থতা এড়াতে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও দরিদ্র মানুষের কষ্ট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল, কালিহাতী ঘাটাইল, গোপালপুর, নাগ,রপুর মির্জাপুর মধুপুর, ভুয়াপুর, সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায় শিশু ও বৃদ্ধ বয়স্ক রোগী ঠান্ডা জনিত রোগে ভরপুর।