নিজস্ব প্রতিনিধি:
নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনি জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুলাইযোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক রেজুলেশন পাস হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট নেতাদের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুরু থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল—এনসিপি এককভাবে নয়, বরং জোটবদ্ধ হয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে জোটটি বিএনপি নাকি জামায়াতের সঙ্গে হবে—এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল নানা প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেই জোট প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো টানাপড়েন চলছে। এনসিপি ৫০টির বেশি আসন দাবি করলেও জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, সমঝোতা হবে জরিপ ও বাস্তব সম্ভাবনার ভিত্তিতে। মিত্রদের এমন আসনই ছাড় দেওয়া হবে—যেখানে তাদের জয়ের সম্ভাবনা শক্তিশালী বলে বিবেচিত হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে নির্বাচনি সমঝোতা বিষয়ে আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আমাদের দলে রেজুলেশন পাস হয়েছে। আলোচনার দায়িত্ব সভাপতি ও সেক্রেটারিকে দেওয়া হয়েছে, এবং আলোচনাও শুরু হয়েছে।”
এনসিপি যুক্ত হলে বর্তমানে থাকা আট-দলীয় সমন্বয়ের মধ্যেও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে আসনসমঝোতা ইস্যু। এতে বিদ্যমান শরিকদেরও সমন্বয় ও ছাড় দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, “এনসিপি আট দলের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়—এমন খবর আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।” দলটির এক সহকারী মহাসচিব মন্তব্য করেন, “জুলাইযোদ্ধাদের দল হিসেবে এনসিপি এলে সবার মধ্যেই পারস্পরিক ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।”