নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিখোঁজের একদিন পর ইটভাটার ঝোপ থেকে মো. বাইজিদ আকন নামে ৯ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার সাহাবুদ্দিন হাজীর ইটভাটার ঝোপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. বাইজিদ আকন ফতুল্লা থানার ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার শাহানাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া সাইফুল আকনের ছেলে।
এর আগে, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফেরদৌস আলীকে (২৯) করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার খাকশ্রী এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, নিহত শিশু ও ঘাতক একই ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার সন্ধ্যায় চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে ফেরদৌস শিশুটিকে বাসা থেকে নিয়ে যান। পরে রাত ১২টার দিকে শিশুর বাবাকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং হুমকি দেন, টাকা না দিলে শিশুটিকে হত্যা করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা দিতে রাজি হলেও পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার সকালে নিহতের বাবা নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি করেন। এরপর পুলিশ করিমগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সন্ধ্যায় ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দাপা ইদ্রাকপুর ইটভাটার ঝোপ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।