আজগর সালেহী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
আট বছরের শিশুকন্যা আছিয়ার নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, এই ঘটনা জাহেলি যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তারা ধর্ষকদের দ্রুত প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
রবিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি কঠোরভাবে নির্ধারিত। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, ‘তাদের শাস্তি দিতে যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয় এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে’ (সূরা নূর, আয়াত-২)। রাসুল (সা.)-এর যুগে এক ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তারা বলেন, প্রকাশ্যে শাস্তি কার্যকর হলে সমাজে ভয় সৃষ্টি হবে এবং ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমবে।
হেফাজত নেতৃদ্বয় আরও বলেন, র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন বন্দি স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। পরে সেই নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মারা যান। তারা এ ঘটনারও প্রকাশ্য শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। গৃহকর্মী কিশোরীকে নিপীড়নপূর্বক হত্যা করেও বিনা বিচারে জামিন পেয়েছিলেন ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক আশফাকুল হক। এসব উদাহরণ দেখায়, বিচারব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইন সংস্কার না হওয়ায় যথাসময়ে ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
হেফাজতে ইসলাম মনে করে, ইসলামের ন্যায়বিচারের আলোকে রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচারব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং নারী-শিশুরা নিরাপদ থাকবে।