নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বনানী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন– আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল সারোয়ার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এবং আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা কেউ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের মোবাইল ফোনে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও মেসেজ আদান-প্রদানের তথ্যও পাওয়া গেছে। বিশেষ করে মামলার ২ নম্বর আসামিকে ঘটনাস্থলে তারা ডেকে এনেছিল বলে জানায় পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এক দিন আগে, শনিবার বিকেলে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারভেজের সঙ্গে প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরে বিষয়টি মীমাংসার দাবি করলেও পরদিন ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ৩০ থেকে ৪০ জন দুর্বৃত্ত পারভেজকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পারভেজের মরদেহ বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
হত্যার ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন: মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মো. মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। এ ছাড়াও আরও ২৫-৩০ জন অজ্ঞাতনামাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত যেখান থেকে, সেই ‘কথিত প্রেমিকা’ শনাক্ত হলেও মামলায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।