আসগর সালেহী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
ভূজপুর-ফটিকছড়ি তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ আলেম, প্রখ্যাত দানবীর, সমাজসেবক, বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শেখ হুসাইন মুহাম্মদ শাহজাহান ইসলামাবাদী (হাফিঃ)-এর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে উপজেলার ১০১ শীর্ষ আলেম সমাজ তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে চাঁদাবাজ কথিত টোকাই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার প্রস্তুতির কথা জানানো হয়।
শেখ হুসাইন মুহাম্মদ শাহজাহান ইসলামাবাদী (হাফিঃ) বাংলাদেশ এহইয়াউস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা, ভূজপুর জামিয়া আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, বৃহত্তর ভূজপুর থানা ওলামা পরিষদের মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলা নায়েবে আমীর, বৃহত্তর ফটিকছড়ি ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি নায়েবে আমীর, কুয়েত ধর্ম মন্ত্রণালয় পরিচালিত হেদায়া ইসলাম প্রেজেন্টেশন সেন্টার এর দাঈ ও অনুবাদক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি শতাধিক মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, অজুখানা নির্মাণ এবং অসংখ্য এতিম শিশু লালন-পালন, সেলাই মেশিন, টিউবওয়েল, হুইলচেয়ার, ঢেউটিন, ইফতার সামগ্রী, কাপড় বিতরণসহ দেশের যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সুপরিচিত।
তিনি ওলামায়ে দেওবন্দের গর্বিত সন্তান এবং দেশের শীর্ষ মুরুব্বীদের স্নেহভাজন এক আলেম।
অন্যদিকে, সামাজিক অশান্তি ও অপপ্রচারের জন্ম দেওয়া হুমায়ুন রিশদ ওরফে ডন হুমায়ুন দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের টার্গেট করে চাঁদাবাজি, অপপ্রচার ও চরিত্রহননের কাজে লিপ্ত।
জানা যায়, দুবাইতে একাধিকবার তার অপকর্মের জন্য গণধোলাই হয়ে মাথা ন্যাড়া করে তওবা করতে হয়েছিল। দুবাইতে গণধোলাইয়ের পর বেশ কিছুদিন লোক চক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে থেকে জুলাই বিপ্লবের পর দেশে এসে কৌশলে জামায়াতে ইসলামীর নেতা জনাব, নাসির উদ্দীন চৌধুরীর (শিবির নাসির) পাশে ঘেঁষে তার সাথে সেলফি তুলে নিজেকে নাসিরের টিমের সদস্য দাবি করে এলাকায় ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে নাসির চৌধুরীর ইমেজ কাজে লাগিয়ে নতুন করে আবারও মানুষের চরিত্রহনন শুরু করে।
অথচ, নাসির চৌধুরী কিছুদিন পূর্বে সংবাদ সম্মেলন করে তার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন অপরাধ করলে তাকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য আহবান জানিয়েছে।
এদিকে তার আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার সাথে পরিবার ও আত্মীয় স্বজন কারো সাথে সুসম্পর্ক নাই। সে এতোটা বেয়াদব ও উগ্র যে মাইর ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না।
সম্প্রতি আল্লামা শেখ হুসাইন মুহাম্মদ শাহজাহান ইসলামাবাদী (হাফিঃ)-এর নিকট মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে ব্যর্থ হয়ে, তাকে সামাজিকভাবে হেয় ও চরিত্রহননের ঘৃণ্য চেষ্টা শুরু করে হুমায়ুন।
শুধু তাই নয়, অতীতেও সে আমীরে হেফাজত আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (হাফিঃ), আল্লামা শাহ সালাহউদ্দিন নানুপুরী (হাফিঃ), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান মেম্বার, মাদরাসা পরিচালক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও একাধিকবার অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল।
প্রতিবাদকারী আলেমরা জানান, “একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ও দানবীর আল্লামা হুসাইন মুহাম্মদ শাহজাহান ইসলামাবাদী (হাফিঃ) সহ সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যাচার ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ পুরো আলেম সমাজ এবং এলাকাবাসীর জন্য চরম লজ্জার। এই সামাজিক অপরাধের দ্রুত আইনি শাস্তি প্রয়োজন।”
তারা আরও বলেন, “এসব অপরাধীর অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এবং ভবিষ্যতে কোনো আলেম, সমাজসেবক কিংবা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচারের পথ যাতে কেউ নিতে না পারে, সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি।” বিবৃতি দাতারা হলেন-
১. হযরত মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী — বাবুনগর মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ২. আল্লামা মুফতি মাহমুদ হাসান ভূজপুরী — জামিয়া ইসলামিয়া বাবুনগরের প্রধান মুফতি ও শায়খুল হাদিস, ভূজপুর আল মাহাদুল ইসলামী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ৩. মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল — জামিয়া ইসলামিয়া ভূজপুরের পরিচালক ৪. মুফতি ইসহাক ইব্রাহিম — জামালুল কোরআন মাদ্রাসার নির্বাহী পরিচালক ৫. হাফেজ এমদাদ হাসান — আল মাহাদুল ইসলামির সহকারী পরিচালক ৬. মাওলানা ইসমাইল সিরাজী — জামিয়া আবু বকরের শিক্ষা পরিচালক ৭. মাওলানা হাবিবুল্লাহ দিদু — ভূজপুর ইসলামিক সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ৮. মাওলানা আবু তালেব ভূজপুরী — রাবার ড্যাম মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ৯. মুফতি নুমান — নারায়ণহাট দারুত তাকওয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ১০. মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া — নাজিরহাট বড় মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ১১. মাওলানা শামসুল আলম — বড়বিল মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ১২. মুফতি খালেদ — আমতলী ফাতেমাতুজ্জোহরা বালক বালিকা মাদরাসার মুহতামিম ১৩. মাওলানা হাফেজ শহিদুল্লাহ — ধর্মপুর বড় মাদরাসার মুহতামিম ১৪. মাওলানা আনাছ সুলতানী — খিরাম আজিজিয়া মাদরাসার মুহতামিম ১৫. মাওলানা ওসমান শাহনগরী — শাহনগর তাজবিদুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম ১৬. মুফতি এরশাদুল্লাহ — মুনাফখীল মাদরাসার মুহতামিম ১৭. মাওলানা ওসমান — কাজিরখিল মাদরাসার মুহতামিম ১৮. মাওলানা আমির উদ্দিন — শাইরাপাড়া মহিলা মাদরাসার মুহতামিম ১৯. মাওলানা মুফতি ওসমান — তালীমুদ্দিন মাদরাসার মুহতামিম ২০. মাওলানা মুনছুরুল আলম ফারুকী — পাইন্দং মাদরাসার মুহতামিম ২১. মুফতি মুনছুর — হারুয়ালছড়ি হাবিবুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ২২. মুফতি জমির বিন ফরিদ — নূরে মদিনা মাদরাসার মুহতামিম ২৩. হাফেজ জাফর — বেতুয়ারখীল হযরত ওসমান (রা.) মাদরাসার মুহতামিম ২৪. মাওলানা শিহাব উদ্দিন — সন্দীপ নগর মুহাম্মাদিয়া মাদরাসার মুহতামিম ২৫. হাফেজ শোয়াইব আজম — আমতলী রহমানিয়া মাদরাসার মুহতামিম ২৬. মাওলানা তাজুল ইসলাম — কেছিয়া ফয়জুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ২৭. মাওলানা হাফেজ শফিউল আলম আজিজী — দাঁতমারা তা’লীমুল ইসলাম মাদরাসার মুহতামিম ২৮. মাওলানা ইউনুস — রত্নপুর মাদরাসার মুহতামিম ২৯. মাওলানা ফখরুল ইসলাম — সন্দীপ নগর আশরাফুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ৩০. মাওলানা কারি আবু সাঈদ — রাবার বাগান মাদরাসার মুহতামিম ৩১. মাওলানা ইলিয়াস — ছিকনছড়া মাদরাসার মুহতামিম ৩২. মাওলানা কারি অলিউল্লাহ — কাজিবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম ৩৩. কাজি বাড়ি নূরানী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল বশর ফারুকী ৩৪. মাওলানা জয়নাল আবেদীন — ভূজপুর রাবারড্যাম আন নূর মাদ্রাসার মুহতামিম ৩৫. মাওলানা আইনুদ্দীন — ইদিলপুর মাদরাসা ৩৬. মাওলানা জুনাইদ — ছোট বেতুয়া মাদরাসা ৩৭. মুফতি মামুন বশর ভূইয়া ৩৮. মুফতি আছগর হোসাইন ৩৯. মাওলানা জাফর ৪০. মাওলানা ইলিয়াস রাঙ্গামাটিয়া ৪১. মাওলানা গোলাপুর রহমান খিরামী ৪২. মাওলানা ফারুক খিরামী ৪৩. মাওলানা আবু ইউসুফ শাহনগরী ৪৪. মাওলানা আশরাফ বিন ইয়াকুব ৪৫. মাওলানা মোহাম্মদ আইয়ুব ৪৬. মাওলানা আফাজ উদ্দিন ৪৭. মাওলানা ইসমাইল কাসেমী ৪৮. মাওলানা মহিউদ্দিন ৪৯. মাওলানা সালাহউদ্দীন দৌলতপুরী ৫০. মাওলানা মাহফুজুর রহমান ৫১. মাওলানা নুরুল আলম নছিরী ৫২. মাওলানা আজিজুর রহমান যশোরী ৫৩. মাওলানা সাইফুল্লাহ সিকদার ৫৪. মাওলানা ওমর ফারুক ৫৫. মাওলানা আব্দুর রহমান ৫৬. মাওলানা আবুল বশর ৫৭. মাওলানা হামিদুল্লাহ বাদশা ৫৮. হাফেজ ইলিয়াস মজুমদার ৫৯. মাওলানা আব্দুশ শাকুর ৬০. মাওলানা খালেদ শাহজাহান ৬১. হাফেজ শহিদুল্লাহ ৬২. মাওলানা জসিমউদ্দীন ৬৩. হাফেজ মাওলানা সুলায়মান ৬৪. হাফেজ মাওলানা লোকমান নারায়ণহাট ৬৫. মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ আমিনী ৬৬. হাফেজ রহমতুল্লাহ ৬৭. মাওলানা তারেকুল ইসলাম ৬৮. সৈয়দ মাওলানা রাসেল ৬৯. মুফতি জাহেদ ৭০. মুফতি ইলিয়াস ৭১. মাওলানা ইরফান ৭২. মাওলানা মোহাম্মদ কাসেম ৭৩. মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াকুব ৭৪. মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ৭৫. হাফেজ মাওলানা ত্ব হা দানিশ ৭৬. মাওলানা খোবাইব জমিরী ৭৭. মাওলানা রফি উসমানী ৭৮. মাওলানা কারি নাসির ৭৯. কারি বেলাল উদ্দিন ৮০. হাফেজ সেলিম মাহমুদ ৮১. মাওলানা সেলিম উদ্দিন রেজা ৮২. মাওলানা সাইফুল্লাহ ৮৩. মাওলানা মুসলিম উদ্দিন মেম্বার ৮৪. মাওলানা রফিকুল ইসলাম ৮৫. মাওলানা হারুন ৮৬. মাওলানা নূর রহমান ৮৭. মাওলানা আবুল হোসেন ৮৮. মাওলানা শহিদুল্লাহ নারায়ণহাট ৮৯. মাওলানা নুরুল ইসলাম ৯০. মাওলানা জোবাইর ৯১. মাওলানা সালাহউদ্দীন ৯২. মাওলানা আলমগীর ৯৩. মাওলানা ইদ্রিস ৯৪. হাফেজ ওয়াহিদুল্লাহ ৯৫. মাওলানা কবির আহমদ ৯৬. হাফেজ মাসউদ হাসান ৯৭. মাওলানা মুহাম্মদ আলী ৯৮. মুরাদুল ইসলাম ৯৯. মাওলানা জাকারিয়া ১০০. মাওলানা ফয়জুল্লাহ ১০১ সাংবাদিক মাওলানা আসগর সালেহী।
দেশ ও বিদেশে থাকা শেখ শাহজাহান সাহেবের আত্মীয়-স্বজন এবং ভক্তদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন সময় মব সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা সামাজিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর পূর্ণ দায়ভার হুমায়ুন এবং তার পরিবারকেই নিতে হবে, যারা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি এবং তাতে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য দায়ী থাকবে।