নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে আজ সোমবার (৬ মে) থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
এর আগে সরকার সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে ১১তম গ্রেডের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। দাবির বাস্তবায়নে ৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তারা। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আজ থেকে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি।
শিক্ষকদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে —
১. সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন,
২. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন,
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৬ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এরপর ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস, এবং ২৬ মে থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এতদিন সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ উচ্চ আদালতের রায়ে ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষককে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা ও ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ উন্নীত করে এবং সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে শিক্ষকরা এটিকে অসম ও অযৌক্তিক উল্লেখ করে বলছেন, তাদের জন্যও অন্তত ১১তম গ্রেড প্রযোজ্য হওয়া উচিত।