মাহমুদুর রহমান নাঈম, ঢাকা প্রতিনিধি
২০১৩ সালে শাহবাগের গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে নাস্তিক্যবাদী শক্তির মাধ্যমে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং কটাক্ষকারীদের শাস্তির দাবী সহ ১৩ দফা দাবী নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আহ্বানে ২০১৩ সালের ০৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরের সমাবেশে জড়ো হয়েছিল লক্ষ লক্ষ নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।
আজ সোমবার (৫ মে ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার এসব বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, সারাদিন ঢাকা অবরোধ ও শাপলা চত্বরের সমাবেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তারা রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ নামাজ, ও বিভিন্ন ইবাদতে মশগুল ছিল।
কেউ ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পরেছিল। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী সভার নির্দেশে ঘুমন্ত, নিরীহ আলেম ওলামা ও নবী প্রেমিক তোহিদী জনতার উপর প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত আক্রমণ করে অসংখ্য উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতাকে হত্যা করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক জঘন্য বর্বরতার সূচনা করে।
তারা আরো বলেন, আমরা ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের কাছে এই হত্যাযজ্ঞের সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকল ঘাতকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি। তাছাড়া শাপলার ঘটনা কে কেন্দ্র করে অনেক নিরপরাধ আলেমকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে গ্রেফতার করা হয়েছিল, জামিন পেলেও মামলা থেকে তাদেরকে পরিপূর্ণ নিষ্পত্তি আজও দেয়া হচ্ছে না। জুলাই- আগস্ট গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অনেক দন্ড প্রাপ্ত আসামী খালাস পেলেও আলেম সমাজের সাথে এখনও বৈষম্য করা হচ্ছে।