নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের ভেতরে-বাইরে অবস্থান করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন আওয়ামী লীগের কিছু পলাতক নেতা ও কর্মী—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এদের কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী দেশে বসে নিয়মিত গোপন বৈঠক করছেন এবং অনলাইনে হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার পরিকল্পনা করছেন। এ প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, “তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাইবার সিকিউরিটি আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশঙ্কা, সাড়ে ৫ হাজারের বেশি অবৈধ হয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ বড় ধরনের নাশকতায় ব্যবহার হতে পারে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৩৭৫টি অস্ত্র ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪৯ রাউন্ড গোলাবারুদ এখনও উদ্ধার হয়নি।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, “যারা অস্ত্র জমা দেননি তারা এখন অবৈধ অস্ত্রধারী। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” একই মত দিয়েছেন সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, “সরকারকে এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হতে হবে। শুধু পলাতকদের দোষ দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না।”
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা এখনও দেশের ভেতরে সক্রিয় এবং রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করছে। এর মধ্যে খুলনা, শরীয়তপুর, বরিশাল, যশোর, রংপুর, সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
এছাড়া কিছু জায়গায় হামলা ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে, আর ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর গুলির ঘটনাও ঘটেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, পরিস্থিতি আরও অশান্ত করতে পুরনো এবং লুট হওয়া অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। ইতোমধ্যেই চিহ্নিত নেতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং উদ্ধার না হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ শনাক্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।