নিজস্ব প্রতিবেদক:
উত্তর-পশ্চিম ভারতের জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় একযোগে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার (৯ মে) রাতে চালানো এই হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাতে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তান প্রায় ৪০০টি তুর্কি-নির্মিত ‘সোনগার’ ড্রোন দিয়ে ৩৬টি স্থানে হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে ভারি কামান দিয়ে গোলাবর্ষণ চালানো হয়। এসব হামলায় কয়েকজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করে ভারত।
হামলার লক্ষ্য ছিল জম্মু, সাম্বা, পাঠানকোট, উধমপুর, নাগরোটা, শ্রীনগর, আওয়ান্তিপোরা, অমৃতসর, ফিরোজপুর, ফাজিলকা, জয়সলমের, ভূজসহ অন্তত ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তান অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং উপাসনালয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে। ফিরোজপুরের খাই ফেমে কে গ্রামে একটি বিস্ফোরণে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এই হামলার জবাবে ভারতও পাল্টা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার বিয়োমিকা সিং জানিয়েছেন, ভারত পাকিস্তানের চারটি এয়ার ডিফেন্স ঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘাঁটির রাডার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে এবং উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনী। সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে এবং সাইরেন বাজিয়ে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত তার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তান পাল্টা জবাবে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
উপমহাদেশের দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এই সামরিক উত্তেজনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।