আসগর সালেহী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ভূজপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মজলুম ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ মে রবিবার মাগরিবের নামাজের পর কাজিরহাট বাজারের দক্ষিণ মাথা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে যাত্রী ছাউনির সামনে এসে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মজলুম ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাওলানা আসগর সালেহী, যুব নেতা মাওলানা বখতিয়ার তালুকদার, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মোহাম্মদ মোস্তফা, সাইদুল ইসলাম মুন্না এবং পরিষদের সভাপতি ও ভুক্তভোগী মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ফয়েজ, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ শফিউল আলম, মোহাম্মদ রিজোয়ান, মোহাম্মদ শওকত, মোহাম্মদ এমদাদ ইসলাম, মোহাম্মদ খায়রুল বশর গুরা মিয়া, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ আব্দুল মুনাফ, মোহাম্মদ সোলায়মান, ওমর ফারুক, মানিক ও রহিমসহ অনেকেই।
বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ৭ মে সন্ধ্যায় প্রবাস থেকে পাঠানো মোবাইল ফোন ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কাজিরহাট বাজারের দক্ষিণ মাথায় বৈদ্যপাড়ার জনৈক ফারুককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজলুম ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সমাজকর্মী মোহাম্মদ দিদারুল আলমসহ একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তারা অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে উপজেলার কিছু অখ্যাত ফেসবুক ভিত্তিক নিউজ পেইজে মিথ্যা বয়ান দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
বক্তারা আরও বলেন, ঘটনার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না; বিশেষ করে দিদারুল আলম চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলেন। বাদী ফারুক আওয়ামী লীগের নেতাদের প্ররোচনায় প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তারা অভিযোগ করেন, ভূজপুর থানা পুলিশ বাস্তব ঘটনার মামলা নিতে গড়িমসি করলেও, টাকার বিনিময়ে দিদারুল আলমকে চেনার পরেও এই মিথ্যা অভিযোগ গ্রহণ করেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বক্তারা থানা প্রশাসনের এমন গর্হিত কাজের নিন্দা জানান।
প্রতিবাদ সভা থেকে বক্তারা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাদের এবং তাদের দোসরদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তারা বলেন, থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে অনেক ছাত্রলীগের ক্যাডার এখন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন মানুষকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তারা অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান।