এম,এ,করিম ভুঁইয়া, পরশুরাম প্রতিনিধি:
পরশুরাম উপজেলার ৪নং বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর টেট্রেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা ও খন্ডলহাই বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উল্লাহ(৫০) প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ (মে) সোমবার সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় নিজ বাড়িতে বাড়ির সীমানায় কলাগাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় আমার দেবর ও প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন এর সাথে আমার স্বামী মোঃ উল্লাহ উভয় পক্ষকে সমোজোতা করতে যান একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন উত্তেজিত হয়ে মুটোফোনে কল করে ৭/৮ জন ও অজ্ঞাত কয়েকজন লোক নিয়ে আসে শুরু হয় মারামারি।
পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগে সন্ত্রাসীরা মোহাম্মদ উল্লাহকে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, লাঠি, দিয়ে মারতে থাকে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদ উল্লাহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সাথে সাথে তাকে নিয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরশুরামে নিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী সদর হসপিটাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সদর হসপিটালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম অথবা ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ভিকটিমের ভাই আব্দুর রহিম বলেন ভিকটিম মোঃ উল্লাহ কে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলে আই সি ইউ ভ্যাট খালি না থাকায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রাম। দীর্ঘ পাঁচ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ১০ (মে) শনিবার সকাল ১১.৪৫ মিনিটে মৃত্যু বরণ করেন।
এদিকে ভিকটিম এর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৯) বাদী হয়ে পরশুরাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ আলী হোসেন (২৭) শুকুর আলী (২২) মোঃ বাদশা (২৫) দেলোয়ার হোসেন (৪৫) আনোয়ার হোসেন (২৪) ও অজ্ঞাত কয়েকজন কে আসামি করে।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নুরুল হাকিম জানান থানায় মামলা হয়েছে। একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে মোহাম্মদ উল্লার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে