নিজস্ব প্রতিবেদক:
এদিন রাতেই রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তবে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করে এই অধ্যাদেশে কোনো সংশোধন আনা হয়নি। অধ্যাদেশে শুধুমাত্র রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলোতে অ্যাডমিন ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।
গেজেট জারির পর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আয়কর ও কাস্টমস কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, “এ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কর ও কাস্টমস ক্যাডারের অধিকাংশ দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে।” তারা আরও জানান, এই অধ্যাদেশের একটি ভালো দিক হলো যে, কর ক্যাডার কর্মকর্তারা শাসিত হবেন কর ক্যাডারের দ্বারা এবং শুল্ক ক্যাডার কর্মকর্তারা শাসিত হবেন শুল্ক ক্যাডার কর্মকর্তাদের দ্বারা।
অধ্যাদেশের খসড়া পর্যালোচনা করে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ এবং কর আদায়ের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে, যেখানে ‘পরিবীক্ষণ’ শব্দের পরিবর্তে ‘মূল্যায়ন’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। এছাড়া রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রশাসনিক অনুবিভাগের বিভিন্ন পদ অ্যাডমিন ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পূর্ণ করা হবে।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে, এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত হয়ে তার জনবল রাজস্ব নীতি বিভাগে ন্যস্ত হবে।
এদিকে, এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে পাঁচ শতাধিক আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কর অঞ্চল, কাস্টমস হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা জানান, “এই অধ্যাদেশে কোনো ধরনের সমীক্ষা ছাড়াই এনবিআর বিলুপ্ত করা হচ্ছে, যা দেশের রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।”
এছাড়া, আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে রাজস্ব ভবনের সামনে বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।