নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলমান সৌদি আরব সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চুক্তির আওতায় রাডার সিস্টেম, পরিবহন বিমানসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সৌদি আরবকে সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্যাকেজ ভবিষ্যতে আরও বাড়িয়ে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
সোমবার (১৩ মে) সিএনএন ও বিবিসি-র খবরে বলা হয়, মার্কিন সময় ভোর ২টা ৪৯ মিনিটে এবং সৌদি সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান রিয়াদে অবতরণ করে। সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের পরই এফ-১৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়, যা কূটনৈতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রিয়াদ রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে রাজকীয়ভাবে স্বাগত জানানো হয়। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজে উপস্থিত থেকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। পরে দুজন একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ সফরে ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, সিইও লাঞ্চন, এবং রয়্যাল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন। এছাড়া ইউনেসকো স্বীকৃত ঐতিহাসিক স্থান দিরিয়াহ ও আত-তুরাইফ পরিদর্শন এবং দিনের শেষে যুবরাজের দেওয়া রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেন প্রশাসনের সময় সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়লেও, ট্রাম্পের এ সফর সম্পর্ক উষ্ণ করার একটি বড় পদক্ষেপ। বিশেষ করে, ইয়েমেন যুদ্ধ ও জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডে সৌদির ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া অবস্থানের প্রেক্ষাপটে এ সফর কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
গাজা ও ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়েও এ সফরে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সৌদি সফর শেষে ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফরে যাবেন বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।
এই সফর শুধু অর্থনৈতিক বা সামরিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ না থেকে, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের নতুন বার্তা হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।