মোঃ শহিদুল ইসলাম পিয়ারুল,ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামত, সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষন কাজে নিযুক্ত নারী শ্রমিকের কাছ থেকে রেভিনিউ টিকেট ক্রয় ও ট্রেজারী খরচের নামে জনপ্রতি ৫০ টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা এলজিইডি’র কমিউনিটি অর্গানাইজার (সিও) পদে দায়িত্বরত সোনিয়া আক্তার শ্রমিকদের মাসিক বেতন ভাতা থেকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ৫০ টাকা কেটে নিচ্ছেন।
জানাগেছে, উপজেলা এলজিইডি’র ‘পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি রুরাল এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড রোড মেইনটেনেন্স প্রোগ্রাম (আরইআরএমপি) প্রকল্পের আওতায় ৩৯ জন নারী শ্রমিক কাজ করছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ৩৯ নারী শ্রমিক প্রতিদিনই স্ব-স্ব ইউনিয়নে দল বেধে সড়ক মেরামত ও সংরক্ষনের কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিমাসে মাসিক বেতন ৯ হাজার টাকা ধার্য্য করা হলেও নগদ পাচ্ছে ৬ হাজার টাকা, আর ৩ হাজার টাকা প্রতি শ্রমিকের নামে সরকারিভাবে সঞ্চয় রাখা হচ্ছে।
যা কর্মসূচী শেষে অর্থাৎ প্রকল্প শেষে পুরো টাকা একসাথে দেওয়া হবে। কিন্তু ওই হতদরিদ্র কেটে খাওয়া নারী শ্রমিকরা মাসিক বেতন হিসাবে ৬ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে রেভিউনিউ টিকেট ও ট্রেজারী খরচার নামে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৫০ টাকা। এতে প্রতি মাসে ১৬০০ টাকা অতিরিক্ত নিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার নান্দাইল উপজেলা এলজিইডি অফিসে সরজমিন তদন্ত করে শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা আদায় করার সত্যতা পাওয়া গেছে। গাংগাইল ইউপির পূজা, বিউটি ও অঞ্জনী দাস সহ আরও অনেকে জানান, প্রতিবারই মাসিক বেতন উঠানোর সময় খরচার নামে ৫০ টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। চন্ডিপাশা ইউপি’র শ্রমিক নার্গিস ও চায়না আক্তার বলেন, রেভিনিউ টিকেট সহ আরও অন্য খরচা আছে তাই দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি অফিসের সিও সোনিয়া আক্তার ৫০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, রেভিনিউ টিকেট ও ট্রেজারী খরচার জন্য ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এটা প্রতি উপজেলায় নেওয়া হয়, কোন কোন উপজেলায় ৮০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস বলেন, এভাবে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে এ মুহুর্তে মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি বলে ফোন কল কেটে দেন।