৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

কিশোরগঞ্জের মঙ্গলবাড়ীয়ার লিচুর কদর দেশজুড়ে, যাচ্ছে বিদেশেও

শাহজাহান সাজু, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়ীয়ার লিচুর কদর ও সুখ্যাতি দেশজুড়ে। আকারে যেমন বড় তেমনি রঙ এবং স্বাদেও সেরা। তবে এবার চাষীরা দাম ভাল পেলেও উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে আশানুরূপ মুনাফার দেখা মিলবে না বলে শঙ্কা বাগান মালিকদের।

উপজেলার মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামকে সবাই লিচু গ্রাম হিসেবেই চেনে। এখানকার লিচু দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যায় বিদেশেও। এই লিচু আকারে যেমন বড়, তেমনি রঙ ও স্বাদেও সেরা। এ কারণে সারাদেশে মঙ্গলবাড়ীয়ার লিচুর রয়েছে বাড়তি কদর। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার লিচুর দাম কিছুটা বেশি। ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। একজন ক্রেতা বলেন, এখানকার লিচুটা অনেক সুস্বাদু। কিন্তু এবার দামটা বেশি। প্রচলিত আছে প্রায় ২০০ বছর আগে সুদূর চীন থেকে চারা এনে লাগানো হয় মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামে। অধিক ফলন ও রসালো কিন্তু ছোট বিচির কারণে এ লিচুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। পরবর্তীতে এই জাতের লিচুর কলম চারা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে। লাভজনক হওয়ায় লিচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে গ্রামবাসী।

বর্তমানে এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে লিচুর গাছ। স্থানীয় একজন লিচু চাষী বলেন, আমার প্রায় ২০০টির বেশি গাছ আছে। প্রতি বছর লাখ টাকার বেশি লিচু বিক্রি করি। শুরুতে শৌখিনভাবে শুরু হলেও গত কয়েক দশক ধরে এ গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় লিচু চাষ। মাঙ্গলবাড়ীয়ার মত উপজেলার নারান্দি, কুমারপুর, হোসেন্দি ও শ্রীরামদি গ্রামেও ব্যাপক হারে লিচুর চাষ হচ্ছে। তবে গত মৌসুমে প্রায় ১০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়েছিল। এবারও আশানুরূপ বিক্রির আশা করছেন চাষীরা। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে ১০ হাজারের কাছাকাছি লিচু গাছ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাদিকুর রহমান জানান, রসে টসটসে, মিষ্টি ও সুঘ্রাণের কারণে মঙ্গলবাড়িয়া লিচুর খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ জাতের লিচুর চারা এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ ও রপ্তানি হচ্ছে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top