মোঃ ফাহিম, পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ‘রিসার্চ ফেস্টিভ্যাল-২০২৫’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রোববার (১৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ব্যানারে একাধিক বানান ভুল চোখে পড়ায় তা সরিয়ে ফেলা হয়।
তবে ব্যানারের ভুল নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে নামসর্বস্ব এক সাংবাদিক নিজেই আরও বেশি ভুল করে বসেছেন—এ নিয়ে এখন চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক পরিচয়ধারী ছাত্রদল নেতা তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
একটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফেস্টিভ্যালের ব্যানারে ৯টি বানান ভুল ছিল। অথচ সেটি নিয়ে প্রতিবেদন করতে
গিয়ে তানভীর আহমেদ নিজে ১৫টি বানান ভুল করেছেন। রিপোর্ট তৈরির জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। কিন্তু তার এমন ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন তার পেশাদারিত্ব ও সাংবাদিকতার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সংবাদটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের নাম, শিক্ষকের নামসহ একাধিক শব্দ ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এমনকি এমন ভুলে ভরা একটি প্রতিবেদন কীভাবে সম্পাদনা ছাড়াই পত্রিকায় প্রকাশ পেল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তানভীর আহমেদ রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতার ছদ্মাবরণে ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার করছেন।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদটির প্রতিবেদক তানভীর আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব বানান ভুলকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “সংবাদে বানান ভুল স্বাভাবিক বিষয়। এটা তো সংবাদ, আবার সংশোধন করে নিলেই হয়। এরকম ভুল স্বাভাবিক বিষয়।”
তবে তিনি পত্রিকার সম্পাদকের উপর দায় চাপিয়ে বলেন, “পত্রিকার সম্পাদকের কাজ হলো নিউজ সংশোধন করে প্রকাশ করা। নিউজের বানান তো এডিটোরিয়াল বডির দেখার দায়িত্ব।”
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সংশ্লিষ্ট পত্রিকার প্রতিনিধি কোনও রকম সংশোধন না করে নিউজটি পাঠিয়েছেন। এটা দ্রুতই সংশোধন করে নেব।”
উল্লেখ্য, এর আগেও তানভীর আহমেদ বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। এমনকি গত বছর তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ ওঠে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি সেসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমাও চান।