নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘে পাকিস্তানের মন্তব্যের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পারভতনেনি হরিশ পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক কেন্দ্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “পাকিস্তান যতদিন সীমান্তপারে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়া বন্ধ না করবে, ততদিন এই ৬৫ বছরের পুরনো চুক্তি কার্যকর থাকবে না।”
শনিবার (২৪ মে) এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি যখন বলেন, “পানি জীবন, যুদ্ধের অস্ত্র নয়,” তখন ভারত পাল্টা জবাবে জানায়, চুক্তির মূল আত্মা পাকিস্তান বারবার লঙ্ঘন করেছে।
পারভতনেনি হরিশ বলেন, “১৯৬০ সালে মৈত্রীর ভিত্তিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও পাকিস্তান এরপর তিনবার ভারতকে যুদ্ধের মুখোমুখি করেছে এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেছে। গত চার দশকে ২০ হাজার ভারতীয় সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছে, যার দায় পাকিস্তান কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।”
ভারত আরও জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিষ্কার জ্বালানির চাহিদা এবং নিরাপত্তা হুমকির কারণে কিছু বাঁধের কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে, অথচ পাকিস্তান সেগুলোর আধুনিকীকরণে বাধা দিয়ে যাচ্ছে।
দিল্লির অভিযোগ, চুক্তির কিছু ধারা নিয়ে আলোচনার জন্য ভারত বারবার উদ্যোগ নিলেও গত দুই বছরে পাকিস্তান তাতে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।
পারভতনেনি হরিশ আরও বলেন, “পাকিস্তান এখন এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাসীর সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে, অথচ বাস্তবে তারাই সন্ত্রাসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। যদি এই বাস্তবতা পাকিস্তান মেনে না নেয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় কখনোই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”