নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে হতাশাজনক সিরিজ হার (২-১) ভুলে এবার পাকিস্তান সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শারজার সেই ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন উদ্দীপনায় খেলতে চায় টাইগাররা। কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, আমিরাতের কাছে হারটাই দলকে জাগিয়ে তুলবে।
লাহোরে পৌঁছে অনুশীলনে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ দল। অনুশীলনের পর সিমন্স বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারটা ছিল কঠিন। তবে কখনও কখনও এ ধরনের পরিস্থিতিই দলকে জাগিয়ে তোলে। আশা করি, এটা দলকে চাঙা করে তুলবে। দলের মনোবল দুর্দান্ত।”
তিনি আরও বলেন, “আমিরাত সিরিজের পরও দলের মানসিকতা খুব ভালো। আমি মনে করি, পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের জয়ের দারুণ সম্ভাবনা আছে। সবাই বলছে, পাকিস্তান নাকি ভালো ফর্মে নেই। কিন্তু খেলাটা নির্ভর করে নির্দিষ্ট দিনে কে কেমন খেলবে, সেটার ওপর। আমাদের সামনে ভালো সুযোগ রয়েছে।”
বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে নতুন সংযোজন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী কোচ শন টেইট। তার আগমনে দলের শক্তি বেড়েছে বলে বিশ্বাস করেন সিমন্স। “শট টেইট দারুণ সংযোজন, শুধু বোলারদের জন্য নয়, পুরো দলের জন্যই। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে,” বলেন তিনি।
এছাড়াও দলের সঙ্গে রয়েছেন স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ, যিনি সদ্য শেষ হওয়া পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে কাজ করেছেন। টেইট ছিলেন করাচি কিংসের সঙ্গে। পাকিস্তানি কন্ডিশন নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিরিজ পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন সিমন্স।
তিনি বলেন, “এখানে এসে আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করব। শন ও মুশি—দুজনই পিএসএলে কাজ করেছে। ওদের কাছ থেকে কন্ডিশনের সুনির্দিষ্ট ধারণা নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
পাকিস্তান দল এবারের সিরিজে খেলছে শাহিন আফ্রিদি, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়াই। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানকে দুর্বল ভাবতে রাজি নন সিমন্স। তিনি বলেন, “যারা নেই, তারা নেই। কিন্তু যারা আছেন, তারাও প্রতিভাবান। কাউকেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের ১১ জনের বিপক্ষেই খেলতে হবে।”
বাংলাদেশ সর্বশেষ পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছিল ২০১৬ সালে। দীর্ঘদিনের সেই খরা কাটানোর সুযোগ এবারই, এমনটা মনে করছেন সিমন্স। “এটাই কি পাকিস্তানকে হারানোর সেরা সময়, জানি না। তবে আমাদের সেরাটা দেওয়ার সময় এটা নিশ্চিতভাবে। পাকিস্তান সবসময় বিপজ্জনক দল, নিশ্চিত কিছু ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে ঘুরে দাঁড়াতে চায়, আর এই সিরিজেই নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভবিষ্যতের পথ রচনা করতে চায় টাইগাররা।