নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। আদালতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রায়ে তিনি নিরপরাধ প্রমাণিত হয়েছেন। বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক এবং বিচারিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
বিগত সরকার তার বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করেছিল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারকরা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই রায় পুনর্বিবেচনার পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে খালাস দেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে পূর্ববর্তী বিচারকে “গ্রস মিসকারেজ অব জাস্টিস” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এই প্রসঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম নিরপরাধ প্রমাণিত হয়ে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য অনুযায়ী, পূর্ববর্তী রায় ছিল ন্যায়বিচারের চরম ব্যত্যয়।”
তিনি আরও বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মূলত রাজনৈতিক স্বার্থে পরিচালিত হয়েছিল, যা বর্তমান সময়ে জাতির সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। এখন সময় এসেছে, অন্য রায়গুলোকেও আইনি পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পথে ফিরিয়ে আনার।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর থেকে একাধিক রাজনৈতিক ও বিচারিক প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনার আওতায় আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এটিএম আজহারের মুক্তির ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
অনেকেই এটিকে শুধু একটি মামলার রায় নয়, বরং পূর্ববর্তী বিচারিক প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখছেন। মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে এই রায়কে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবেও বিবেচনা করছেন অনেকে।