রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদ-উল আযাহার ছুটিতে ঘরে বসে নেই। দায়িত্বের মাঠে নিরালস শ্রমে হাতীবান্ধার পিআইও উত্তম কুমার নন্দী। ২০২৪/২৫ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য হাতিবান্ধা ইপজেলা প্রায় ৪ কোটি টাকার ছোট বড় মাঝারী ও ভারী প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছ।
যেখানে অধিকাংশ মানুষ ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারীর টানে নিউজ বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন সেখানে একজন সরকারি কর্মকর্তা চুপিচুপি কাজ করে চলেছেন দেশের আত্ন- সামাজিক ও গ্রামীন জনগোষ্ঠীর অবকাঠামো উউন্নয়নে। তিনি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) উত্তম কুমার নন্দী।
পেশাদারিত্ব, দায়বদ্ধতা ও জনসেবার এক বিরল উদাহরণ হয়ে উঠেছেন হাতিবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। ঈদের ছুটিতে যখন অধিকাংশ দপ্তর ছুটির আমেজে রয়েছে,তখন উত্তম কুমার নন্দী মাঠপর্যায়ে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করছেন চলমান টি আর কাটা/ কাবিখা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।
বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলায় যেসব প্রকল্পে বাস্তবায়নের কাজ চলছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন ঘর নির্মাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প, ক্ষুদ্র পানি সংরক্ষণ ও খাল খনন প্রকল্প কালভার্ট নির্মাণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর হস্তান্তরের কার্যক্রম।
এ ব্যপারে হাতিবান্ধা উপজেলা (পি,আই,এ) উত্তম কুমার নন্দীর সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন, প্রকল্পের কাজ সময়মতো বাস্তবায়ন এবং মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতেই ছুটির দিনেও সরেজমিন গিয়ে প্রকল্পের কাজে কোনও প্রকার সমস্যা,বা গুনগত মান ঠিক আছে কি- না, বা কাজ খারাপ হলে তা সঠিক ভাবে করার নির্দেশ প্রদান করছি। সরকারি কর্মকর্তা মানেই ডেস্কে বসে থাকা নয়, মাঠে নেমে মানুষের জন্য কাজ করাই আসল সেবা,”—এমন বার্তা দিচ্ছেন উত্তম কুমার নন্দী তার নির-বিচার পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্প মানেই জনগণের টাকায় বাস্তবায়ন। কাজের গুণগত মান ঠিক রাখা এবং সময়মতো শেষ করাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব। ঈদ আসে, ছুটি আসে—কিন্তু দায়িত্ব থেকে কখনো ছুটি নেওয়া যায় না।”
এদিকে হাতিবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্সাগা ইউনিয়নের কয়েকজনের সাথে আলোচনা হলে সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা এই কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন—”তিনি শুধু একজন কর্মকর্তা নন, উন্নয়ন যাত্রার এক নির্ভরযোগ্য পথপ্রদর্শক। এমন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা সরকারে থাকলে দেশের তৃণমূলেও পরিবর্তন নিশ্চিত হতো বলে তারা মনে করেন।
নাম না প্রকাশ্যে করার শর্ত সাপেক্ষে সরেজমিন ঘুরে এসে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের একজন প্রকল্প সভাপতি বলেন, ঈদের ছুটিতে নিজের পরিবার থেকে দূরে থেকেও যিনি সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নিয়োজিত, থাকেন তিনি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।উত্তম কুমার নন্দীর মতো কর্মকর্তারাই প্রমাণ করছেন—সরকারি চাকরি শুধু পেশা নয়, এটা এক ধরনের মানুষের প্রতি অঙ্গীকার বটে।