নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মারুফ কামাল খান দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের আগে আত্মীয়-স্বজনকে ইংরেজিতে বার্তা পাঠালেও তার দলীয় নেতাকর্মীদের কিছুই জানাননি। বুধবার (১১ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মারুফ কামাল লেখেন, “শেষ রক্ষা হচ্ছে না—এটা শেখ হাসিনা নিজে বুঝলেও দলের নেতাকর্মীদের বুঝতে দেননি। প্রশাসন ও বাহিনীতে যারা তার হয়ে কাজ করছিলেন, তারাও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পালিয়ে গেছেন।”
তিনি আরও দাবি করেন, “ছলে-বলে-কৌশলে টানা সাড়ে পনেরো বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেও শেষ পর্যন্ত ছাত্র-তরুণদের আন্দোলনের মুখে পড়ে গুলিতে দমনচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেনাবাহিনীও গুলি চালানোর বিরোধিতা করে। এরপর শেখ হাসিনা কিছু সময় স্নায়ুর চাপ সৃষ্টি করে অবশেষে পালানোর সুযোগ তৈরি করেন।”
মারুফের ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা শুধু নিজের নয়, আত্মীয়-স্বজনদের পালানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন। একটি ভুল ইংরেজি বাক্য ব্যবহার করে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন: “No one stay here”—যার মাধ্যমে তিনি স্বজনদের দেশ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই বার্তা প্রমাণ করে, তার মনোযোগ ছিল কেবল আত্মীয়দের নিরাপত্তায়, দলের নেতাকর্মীদের বিষয়ে তার কোনো চিন্তা ছিল না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও লিখেন, “স্বজনদের নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পাড়ি জমিয়েই হাসিনা আবারও রাজনীতিতে ফিরে আসতে চান। চরম অপরাধ থেকে মুক্তি পেতে চান। কিন্তু প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উসকানি দিয়ে তারা যেন আরেকবার আগুন-খেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় চলমান ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকা ত্যাগ করে ভারত চলে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।